শিরোনাম
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২২ উদযাপিত
বিস্তারিত
পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সিলেট এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সিলেট এর যৌথ উদ্যোগে ২৮ এপ্রিল পালিত হয়েছে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২২। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য “নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ”। অপরাহ্ন ২ ঘটিকায় র্যালির মাধ্যমে শুরু হয় দিবসের কার্যক্রম। র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান। এতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সিলেট এর উপমহাপরিদর্শক তপন বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা একটি Power point presentation উপস্থাপনের মাধ্যমে দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আনোয়ার সাদাত এর সভাপতিত্বে সভায় শিল্প পুলিশ-৮, সিলেট এর পুলিশ সুপার মোঃ রওশনুজ্জামান সিদ্দিকী, সিভিল সার্জন, সিলেট এর পক্ষে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ জন্মেজয় দত্ত শংকর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেট এর সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ বেলাল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। বিভিন্ন শিল্প কারখানা ও চা বাগানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সাধারণ শ্রমিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় শ্রমিক লীগ সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রোমেন তার বক্তব্যে সিলেট জেলায় করোনাকালে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টে ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শ্রী রাজু গোয়ালা চা বাগানের অভ্যন্তরে স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের দাবি জানান। জেলা প্রশাসক সিভিল সার্জনের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে মর্মে জানান।
সভায় ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি জানান তারা বিনামূল্যে বিভিন্ন কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে অগ্নি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন ৷ শুধু ২ টি রিফিল করা অগ্নি নির্বাপক সাথে রাখতে হবে ৷ পূর্বেকার ১৬,৫০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে আবেদন করার বিধানটি বাতিল বলে জানান ৷
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি জানান, পেশাগত রোগের মধ্যে সিলেটে পূর্বে সিলিকসিস বেশ লক্ষনীয় ছিল ৷ এ রোগের চিকিৎসা না থাকায় বেশ সতর্কতা জরুরি৷ পূর্বে পাথরভাঙ্গা শ্রমিকদের মধ্যে এটি দেখা যেত৷ বর্তমানে পাথরভাঙ্গা বন্ধ৷ পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি ইনস্টিটিউট সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ বলে জানান৷ সেখানে বিভিন্ন পেশাগত রোগের গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ হলে শ্রমিক মালিক সকলে উপকৃত হবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন ৷
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ—৮ এর পুলিশ সুপার জানান,শিল্পে স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখা তাদের অন্যতম কাজ৷ শিল্পখাতে যেকোন পরিস্থিতিতে তারা সহযোগিতামূলক হাত প্রসারিত করতে প্রস্তুত আছেন বলে জানান ৷
প্রধান অতিথি এবং জেলা প্রশাসক দিবসের প্রতিপাদ্য ঊদ্বৃত করে জানান এসডিজির লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে ৷