শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (DIFE), সিলেট কার্যালয়ের উদ্যোগে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২১। এতে সভাপতিত্ব করেন উপ-মহাপরিদর্শক জনাব তপন বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা। ২০১৬ সাল হতে প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এবছর দিবসের প্রতিপাদ্য “মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ হোক সবার”।
বিদ্যমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতে অনলাইনে (Zoom Platform) সকাল এগার ঘটিকা হতে ঘন্টাব্যাপী আলোচনা সভায় দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব সহ সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানার মালিক, ব্যবস্থাপক এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সভায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসের প্রেক্ষাপট, গুরুত্ব ও তাৎপর্য উপস্থাপন করা হয়। এছাড়াও শ্রম আইনে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি সংক্রান্ত বিধান এবং সেইফটি কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা হয়। এতে চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন কারখানায় স্বাস্থ্য বিধি মানার ক্ষেত্রে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সচেতনতা কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে।
সভায় আলোচনা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শিল্প সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে কর্মস্থলের শোভন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তা কর্মের প্রথম শর্ত। নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সকল মৌলিক অধিকারের ঊর্ধ্বে। আর এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার শ্রম আইনে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহ যুগোপযোগী করে বেশ কিছু সংশোধনী আনয়ন করার পাশাপাশি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে “জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা”প্রণয়ন করেছে। শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও কর্মস্থলের নিরাপত্তার উপর যেখানে একটি দেশের উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকটা জড়িত, সেখানে অতি দ্রুত মালিক-শ্রমিক-সরকার সকল পর্যায়ে জাতীয়ভাবে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই।
সভায় আলোচনা হয়, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে শ্রম আইন ও বিধিমালায় যা কিছু উল্লেখ রয়েছে সেসব মেনে চললে বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মালিকই লাভবান হন। এতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। “কর্মস্থলের নিরাপত্তায় বিনিয়োগ শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ”—এই বিষয়টি আজ প্রতিষ্ঠিত। মালিক, ব্যবস্থাপক, শ্রমিক শ্রম আইনে সকলের দায় দায়িত্ব রয়েছে। শ্রমিকের যেমন দায় দায়িত্ব রয়েছে, তেমনিভাবে মালিকেরও। শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার যথাযথভাবে প্রদানের পাশাপাশি, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ে সচেতন হওয়ার এবং এ বিষয়ে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বাণ জানানো হয়। এতে উৎপাদনশীলতা বাড়বে। পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটির সাথে উৎপাদনশীলতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শ্রমিক মলিক সকলে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন “সোনার বাংলা” বিনির্মাণ করতে সম্ভব- এই অভিমত পাওয়া যায়।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর
উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়, সিলেট
বাড়ি নং-১৬, রোড নং-২২, ব্লক-ডি, শাহজালাল উপশহর, সিলেট
☎️ ০২৯৯৭৭০০৮৯৪, ✉ dig.sylhet@dife.gov.bd
[অধিক্ষেত্র : সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সমগ্র এলাকা]
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস